মাঠে নিকোলসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিনে নিউ জিল্যান্ডের রান ৮৪ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৪। টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে দিন শেষে ১১৭ রানে অপরাজিত নিকোলস। এই মাঠের শততম সেঞ্চুরি এটি। মাঠের সবুজ প্রান্তর থেকে মাঝের ২২ গজ আলাদ করাই কঠিন। প্রত্যাশিতভাবেই গতি, বাউন্স, সিম মুভমেন্ট মিলল সেই পিচে। ক্যারিবিয়ান পেসারদের বোলিংও খারাপ হলো না। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালেন হেনরি নিকোলস। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় দারুণ এক সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে তিনি গড়ে দিলেন ব্যবধান।
বেসিন রিজার্ভে টস জিতে প্রত্যাশিতভাবেই বোলিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুজনকে তারা উপহার দেয় টেস্ট ক্যাপ, পেসার শেমার হোল্ডার ও কিপার-ব্যাটসম্যান জশুয়া দা সিলভা। আগের টেস্টেও এমন ঘাসের উইকেট পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৫১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন কেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসন দলে না থাকলেও নিউ জিল্যান্ড কিন্তু একজন ত্রাতা পেয়ে গেছে ঠিকই।
নিকোলস উইকেটে নামার আগে দাপট ছিল ক্যারিবিয়ান বোলারদেরই। শুরুতে একটু এলোমেলো বোলিংয়ে প্রথম ২ ওভারে ২১ রান দেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। তবে দ্রুতই নিজেকে গুছিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা ফাস্ট বোলার। টস ব্লান্ডেলকে বোল্ড করে দলকে এনে দেন প্রথম উইকেট ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম ল্যাথামকে ২৭ রানে থামিয়ে প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পান শেমার হোল্ডার। অভিজ্ঞ রস টেইলরকে দারুণ এক ডেলিভারিতে ৯ রানে ফেরান গ্যাব্রিয়েল।নিকোলসের লড়াই শুরু সেখান থেকে। তাকে সঙ্গ দেন উইল ইয়াং। চতুর্থ উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন দুজন। উইকেটে খুব একটা স্বস্তিতে না থাকলেও ৪৩ করে ফেলেন ইয়াং। তাকে ফিরিয়ে দেড়শতম টেস্ট শিকারের স্বাদ পান গ্যাব্রিয়েল।
এরপর নিকোলসের লড়াই চোট কাটিয়ে ফেরা বিজে ওয়াটলিংকে। এই জুটিও জমে যায়।বেশ কবার অল্পের জন্য আউট হননি নিকোলস। কিন্তু নিজেদের দোষেই ক্যারিবিয়ানরা পারেননি তাকে ফেরাতে। ৪৭ রানে দুই দফায় স্লিপে জীবন পান নিকোলস, প্রথমবার গ্যাব্রিয়েলের বলে, পরের বার শেমার হোল্ডারের বলে। স্বচ্ছন্দ না হলেও লড়াইয়ে হাল ছাড়েননি নিকোলস। সুযোগ পেলেই কাজে লাগান বাউন্ডারি আদায় করে। ৫৫ রানের জুটির পর ওয়াটলিং বিদায় নেন ৩০ রান করে। এরপরও নিকোলস ও নিউ জিল্যান্ডের লড়াই চলতে থাকে।
ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে নিকোলস যোগ করেন ৮৩ রান। এটিই দিনের সবচেয়ে বড় জুটি হয় ষষ্ঠ উইকেটে।নিকোলস সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১৭৯ বলে।
দিনের শেষ বেলায় ৪২ রানে মিচেলকে থামিয়ে শেমার হোল্ডার দ্বিতীয় উইকেটের স্বাদ পান টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম দিনে। তবে নিকোলস হার মানেননি। ১৫ চার ও ১ ছক্কায় তিনি মাঠ ছাড়েন ১১৭ রানে অপরাজিত থেকে। মূলত জমজমাট লড়াইয়ের প্রথম দিনের নায়ক বলতে গেলে তিনিই।