অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বড় জয়

রোববার রাতে ঘরের মাঠে উলভার হ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের সহজ জয় পেয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। সালাহ, ভাইনালডাম ও জোয়েল ম্যাটিপ একটি করে গোল করেছেন। গত রাউন্ডে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওনের মাঠে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ১-১ ড্র করেছিল লিভারপুল।
শনিবার ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচের মধ্য দিয়ে দর্শক ফেরে প্রিমিয়ার লিগে। তবে মাত্র দুই হাজার দর্শককে মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
শুরু থেকে বলের দখলে এগিয়ে থাকা লিভারপুল দ্বাদশ মিনিটে প্রথমে ভালো সুযোগ পায়। তবে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সাদিও মানে। অষ্টাদশ মিনিটে প্রিমিয়ার লিগে অভিষিক্ত গোলরক্ষক কুইভিন কেলেহারের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। উলভারহ্যাম্পটনের দানিয়েল পোদেন্সের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়াতে যাচ্ছিল, লাফিয়ে এক হাতে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান লিভারপুলের যুব দল থেকে উঠে আসা আইরিশ গোলরক্ষক। প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৪তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন সালাহ। মাঝমাঠ থেকে জর্ডান হেন্ডারসনের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে ক্লিয়ার করতে পারেননি সফরকারী ডিফেন্ডার কনর কোডি, বুক দিয়ে নামিয়ে উল্টো বল তুলে দেন সালাহর পায়ে। কাছ থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মিশরের ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে উলভারহ্যাম্পটনকে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যান ইয়র্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে দৃষ্টিনন্দন এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভাইনালডাম। ৬৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ম্যাটিপ। সালাহর চমৎকার ক্রস থেকে হেড করে বল জালে পাঠান তিনি। এরপর ৭৮তম মিনিটে নেলসন সেমেদোর আত্মঘাতী গোলে বড় জয় পায় লিভারপুল। ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠান পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।
এ জয়ে ১১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিভারপুল। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। রোববার আর্সেনালকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মরিনহোর টটেনহ্যাম। ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে চেলসি। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে চারে আছে লেস্টার সিটি। একটি করে ম্যাচ কম খেলে ১৯ ও ১৮ নিয়ে পরের দুটি স্থানে যথাক্রমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি।